ফেব্রিক শব্দটি একধরণের জাতিবাচক অর্থে প্রকাশিত হয় যা বিভিন্ন প্রকারের পোশাক তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে যেহেতু টেক্সটাইল ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় কাজেই ফেব্রিক হচ্ছে টেক্সটাইলেরই একটি অংশ মাত্র। ফেব্রিক রেডি মেইড গার্মেন্টসের একটি মৌলিক উপাদান। কারন ইহাই হল গার্মেন্টস ফেক্টরির প্রধান কাঁচামাল।
ফেব্রিকস তৈরি হয় কিভাবে: ইহা ইয়ার্ণ থেকে উইভিং, নিটিং, মেল্টিং, ফেল্টিং প্রভৃতি পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ফেব্রিক উৎপাদনে উইভিং এবং নিটিং উভয় পদ্ধতি সর্বাধিক জনপ্রিয় হিসাবে গন্য।
এই সব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত ফেব্রিক হল গ্রে ফেব্রিক যা সাদা রঙ্গের হয়ে থাকে। এই গ্রে ফেব্রিক ডাইং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রং করা হয়। এরপর প্রিন্টিং এর মাধ্যমে ফেব্রিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে রঙিন প্যাটার্ন যোগ করা হয়। পরিশেষে কাপড়টিকে ফিনিশিং প্রক্রিয়ায় ভালভাবে শুকিয়ে নিয়ে ফিনিসড প্রোডাক
ফেব্রিকস কত প্রকার: ফেব্রিক হল গার্মেন্টস শিল্পের মুল কাঁচামাল। ফেব্রিকস দিয়ে গার্মেন্টস ফেক্টরিতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন মানের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পোশাক। এছাড়া, অনেক মানুষ রয়েছে যারা রেডিমেইড পোশাক না কিনে বাজার ফেব্রিক কিনে দর্জি দিয়ে বানিয়ে নেয়।
যাহোক, উভয় ক্ষেত্রেই ক্রেতা সাধারণের ফেব্রিক সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা রাখা প্রয়োজোন। তাই ফেব্রিক কত প্রকার কি কি এই বিষয়ে আপনার একটি পরিস্কার ধারণা নেওয় প্রয়োজন।
ফেব্রিক সাধারনত দুটি ভিত্তি বিবেচনা করে শ্রেনিবিভাগ করা হয়েছে। একটি ফেব্রিক তৈরির কৌশল এবং অপরটি উৎস।
ফেব্রিক তৈরির কৌশলের উপর ভিত্তি করে ফেব্রিক এর প্রকারভেদ:
- উভেন (Woven) ফেব্রিক
- নিটেড (Knitted) ফেব্রিক
- ব্র্যাইডেড (Braided) ফেব্রিক
- নন উভেন (Non Woven) ফেব্রিক
কয়েকটি উভেন ফেব্রিকসের নাম:
- পপলিন
- টুইল
- ভয়েল
- সাটিন
- ক্যানভাস
- ফ্লানেল
- কয়েকটি নীট ফেব্রিকসের নাম:
- সিঙ্গেল জার্সি
- অল ওভার প্রিন্ট
- ইয়ার্ন ডাইড
- গ্রে-মেলাঙ্গে সিঙ্গেল জার্সি
- টেরি জার্সি
- ফ্লিস ওয়ান সাইড ব্রাশ
- রীব
- পিক বা ল্যাকাউস্ট
- লিকরা সিঙ্গেল জার্সি
- লিকরা রীব
- পোলার ফ্লিস
- মেশ ফেব্রিকস
- ইন্টারলক
- স্লাব ফেব্রিক ()
- বার্ন আউট ফেব্রিক
গার্মেন্টস শিল্পে সাধারনত: এই ধরনের ফেব্রিকস ব্যবহার করা হয়।
উৎসের উপর ভিত্তি করে ফেব্রিক কত প্রকার কি কি?
ফেব্রিক তৈরির কাঁচামাল বলতে ফাইবার বা আঁশ বুঝানো হয়। এই ফাইবার যে সব উৎস থেকে পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করেই এই শ্রেণিবিভাগ।
প্রাকৃতিক ফাইবার : এই জাতীয় ফাইবার উদ্ভিদ এবং প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়। যেমন, কটন, লিনেন, সিল্ক ইত্যাদি।
কৃত্রিম ফাইবার : যেমন পলিস্টার জাতীয় ফেব্রিক কৃত্র্রিম ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়।